বে টার্মিনাল নির্মাণসহ ২ প্রকল্পে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
অনলাইন রিপোর্ট
বে টার্মিনাল নির্মাণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা আধুনিকীকরণে সহায়তা করার জন্য মোট ৮৫০ মিলিয়ন ডলারের দুটি অর্থায়ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাংক।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাংক বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মোট ৮৫০ মিলিয়ন ডলারের দুটি পৃথক অর্থায়ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর লক্ষ্য হলো বে টার্মিনাল গভীর সমুদ্র বন্দরের উন্নয়ন এবং জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা।
ইআরডির সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল এইচ মার্টিন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশ সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজারও স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির আওতায়, বিশ্বব্যাংক বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বে টার্মিনাল মেরিন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার দেবে। এছাড়া আরও ২০০ মিলিয়ন ডলার একটি বিস্তৃত সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নে দেয়া হবে।
বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। টেকসই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে এই বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান তৈরি করা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, অনুমোদিত ৮৫০ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন প্যাকেজটি রফতানি প্রতিযোগিতা বাড়ানো এবং সামাজিক সুরক্ষা থেকে চাকরির বাজারে উত্তরণে সহায়তা করে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার সিদ্দিকী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই প্রকল্পগুলো জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি ও একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হতে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, এই অর্থায়ন এসেছে বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে, যা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য সুদমুক্ত ও রেয়াতি ঋণ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের অন্যতম প্রাথমিক উন্নয়ন সহযোগী, যা দেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে — যার মধ্যে রয়েছে অনুদান, সুদমুক্ত ও রেয়াতি ঋণ।
https://jarinmedia.com/news/economy/1f020c85-2fcc-6290-a595-dbb4901a0006